বিষয় : পশু রোগ আইন ২০০৫
সংশিষ্ট সকলের অবগতি ও কায্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানান যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কর্তৃক পাশকৃত পশু রোগ আইন ২০০৫ এর নিম্নলিখিত ধারা ও উপধারা মোতাবেক পশু রোগের বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান কল্পে ২০০৫ সনের ৫নং আইন এর -
৩নং ধারা পশুর রোগ সম্পর্কে তথ্য প্রদান। (১) ‘‘ প্রত্যেক পশুর মালিক, দখলকার, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণ বা কোন পশুর চিকিৎসাকালে বা অন্য কোন ভাবে কোন পশু চিকিৎসক (Veterinarian) বা পশুসম্পদ অধিদপ্তরের মাঠ কর্মীর নিকট যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার যুক্তিসঙ্গত কারন থাকে যে, কোন পশু কোন রোগে আক্রান্ত, তাহা হইলে উক্ত মালিক, দখলদার, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রক, চিকিৎসক বা মাঠ কর্মী অনতিবিলম্বে মহা পরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ভেটেরিনারি কর্মকর্তাকে পশুর উক্ত রোগ সম্পর্কিত তথ্য লিখিতভাবে অবহিত করিবেন’’।
৪নং ধারা রোগাক্রান্ত পশু পৃথকীকরণ । ‘‘ কোন পশুর মালিক, দখলকার, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রক যদি এই মর্মে নিশ্চিত হন যে, উক্ত পশু রোগাক্রান্ত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি উক্ত পশুকে অন্যান্য পশু হইতে পৃথকভাবে রাখিবার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন ; এবং রোগাক্রান্ত নহে এমন পশু উক্ত রোগাক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে বা নিকটে যাহাতে আসিতে না পারে তজ্জন্য, যতদূর সম্ভব, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন’’।
৬নং ধারার খ উপধারা। ‘‘ রোগাক্রান্ত বা রোগাক্রান্ত বলিয়া গণ্য বা রোগাক্রান্ত পশু সংস্পর্শে আসিয়াছে এমন কোন পশুর মাংস, ডিম বা উক্ত পশু হইতে উৎপাদিত অন্য কোন পন্য ক্রয় বিক্রয় করা যাইবে না ’’।
৮নং ধারা। জীবানুমুক্তকরন,ইত্যাদি। (১) ‘‘ মহা পরিচালক লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত আদেশে উলিখিতরূপে সংক্রমিত পশু রাখা হইয়াছিল বা সংরক্ষিত ছিল এইরূপ কোন সেড, স্থাপনা, যানবাহন,পশু পালন খামার, পশু প্রজনন খামার, খোয়াড়, খাঁচা, অন্য কোন স্থান বা আঙ্গিনা বা পশুর খাবারের আধার বা ধারক জীবানুমুক্তকরনের জন্য উহার মালিক, দখলদার, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন ; এবং উক্ত মালিক দখলদার, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রক উক্ত নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করিতে বাধ্য করিবেন ’’।
১১নং ধারা। রোগাক্রান্ত হইয়া মৃত্যু ঘটিয়াছে এমন পশু অপসারন। (১) ‘‘ রোগে আক্রান্ত হইয়া মৃত্যু হইয়াছে বলিয়া সন্দেহযুক্ত কোন পশুর মৃতদেহ উহার চামড়াসহ ছয় ফুট মাটির নীচে পুতিয়া বা আগুনে পুড়াইয়া ফেলিবার মাধ্যমে ধ্বংস বা নির্ধারিত অন্য কোন পদ্ধতিতে উক্তরূপ মৃতদেহ অপসারনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে ’’।
১২ নং ধারা। সংক্রমিত পশু বাজারজাতকরনের বিধি নিষেধ। ‘‘ ধারা ৫এর অধীন ঘোষিত কোন সংক্রমিত এলাকার পশু বা উক্ত পশু হইতে উৎপাদিত পণ্য এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ভেটেরিনারী কর্মকর্তার অনুমতি গ্রহন ব্যতিরেকে উক্ত এলাকায় ইহা বাজারজাত করা যাইবে না ’’।
কোন ব্যক্তি পশুর মালিক, দখলদার, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রক যদি উপরোক্ত ধারা আইন অমান্য করেন তাহলে একই আইনের ২৫নং ধারা মোতাবেক দন্ডের বিধান রহিয়াছে।
২৫নং ধারা মোতাবেক দন্ড। ‘‘ যদি কোন ব্যক্তি এই আইন, বা তদধীন প্রণীত বিধির কোন বিধান লংঘন করেন বা তদনুযায়ী দায়িত্ব সম্পাদনে বা আদেশ ও নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ লংঘন বা ব্যর্থতার দায়ে অনুর্ধ্ব দুই বৎসর কারাদন্ড বা অনুর্ধ্ব ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন ’’।
সুতরাং উপরোক্ত আইনের ধারা উপধারা যথাযথ মেনে চলার জন্য সংশিষ্ট ব্যক্তি, পশুর মালিক, দখলদার, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রককে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান হলো। অন্যথায় বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ডা: মোছাদ্দেক হোসেন)
পরিচালক (প্রাণিস্বাস্থ্য ও প্রশাসন ) (চঃ দাঃ)
মহা পরিচালক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্বে
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস